কেন কনটেন্ট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে এত গুরুত্বপূর্ণ, কিভাবে বা কোন পরিস্থিতিতে কনটেন্ট মার্কেটিং করবো; সে সব বিষয়ে প্রাথমিক কিন্তু খুবই মূল্যবান ধারনা থাকছে এই লেখাতে।
একটা সময় কনটেন্ট মার্কেটিংকে অনেকে আবেগী চিন্তা বলে মনে করতো। কিন্তু এখন কখন কনটেন্ট মার্কেটিং মূল ধারার মার্কেটিং কৌশলের অন্যতম উপকরণ।
বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে এমন কোন ব্যবসায়ের অস্তিত্ব নেই, যারা কনটেন্ট মার্কেটিংকে তাদের সেলস এন্ড মার্কেটিংয়ের স্ট্রাটেজি হিসেবে গ্রহণ করেনি।
সে প্রেক্ষিতে একটি প্রশ্ন চলে আসে কনটেন্ট মার্কেটিং বলতে আমরা কি বুঝি?
কনটেন্ট মার্কেটিং বুঝতে হলে শুধু কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের সংগা বুঝলেই পর্যাপ্ত নয়, বরং এর সমাগ্রীকতা বোঝা দরকার। কিভাবে এটি ব্যবহৃত হয়, কোথায় এবং কোন পরিস্থিতিতে মার্কেটাররা ব্যবহার করে থাকে?
অর্থাৎ কনটেন্ট ক্রিয়েশন বা রাইটিং এন্ড এডিটিং নিয়ে কাজ করলে এর পেছনের পুরা বিজ্ঞানকে আমরা পাশ কাটিয়ে যাব। যেখানে রয়েছে রিয়েল টাইম ডাটা নিয়ে নানা ধরনের কার্যকলাপ।
মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হিসেবে কনটেন্ট মার্কেটিং টার্গেট অডিয়েন্সকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যম হতে পারে; যাতে তারা আপনার ব্যবসায়ের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং আগ্রহ প্রকাশ করে। কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে নতুন কাস্টমারকে ব্র্যান্ডের প্রতি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি পুরাতন কাস্টমারদেরকেও নিজস্ব ব্র্যান্ডে ধরে রাখা সম্ভব হয়।
কনটেন্ট মার্কেটিং কেন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেটি বুঝতে হলে বায়ার্স জার্নিকে বুঝতে হবে।
এই ধাপে সম্ভাব্য ক্রেতা বা অডিয়েন্স কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্য অনুসন্ধান করে থাকে। তারা কোন সমস্যার সমাধান খুঁজতে পারে যা দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে তারা মুখিমুখি হচ্ছে। অথবা তারা রিসার্চের জন্য কোন তথ্যের জন্য আপনার কাছে আসতে পারে।
এই পর্যায়ে কাস্টমাররা তাদের কোন নির্দষ্টি সমস্যার সম্পর্কে আরো বেশি জানতে তৎপর হয়। যেমন- তারা যে পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে তার উপর নানা ভাবে তাদের জিজ্ঞাসাগুলো জানতে চায় এধাপে।
এই ধাপে কাস্টমাররা কিভাবে আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয় করবে সে সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে থাকে। যেমন- কিভাবে চেক আউট করবে। কোথায় এবং কিভাবে অর্থ পরিশোধ করতে হবে, ইত্যাদি।